শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ : বরিশাল নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর গুচ্ছ গ্রামে অবস্থিত রহমানিয়া কিরাতুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার এতিমখানা শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক এস. এম. অজিয়র রহমান।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় বরিশালের জেলা প্রশাসক এতিমখানায় গিয়ে এতিম শিশুদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি এতিমখানায় দুই টন চাল ও নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। পাশাপাশি আগামী ছয় মাসের আহার্য দেওয়ায় প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়াও হাফেজিয়া মাদ্রাসার সমাজসেবার রেজিস্ট্রেশন করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন জেলা প্রশাসক অজিয়র।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উর্মি ভৌমিক, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রবিন শীষ, সুব্রত বিশ্বাস দাস, মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ এবং মাদ্রাসার পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম ফিরোজী। এদিকে অনুদান পেয়ে মাদ্রাসার এতিম শিশুদের মুখে হাসি ফুটেছে।
সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে একটি ভাড়া বাড়িতে ছিল এ এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর হস্তক্ষেপে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা অনুদান পায় মাদ্রাসাটি। সেই অনুদান দিয়ে জমি ক্রয়সহ চারতলা ভিত্তির ওপর এক তলা ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে অনুদানের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে চরম অর্থ সঙ্কটে ভুগতে শুরু করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তারপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো রয়েছে পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা।
শুধু তাই নয় বর্তমানে অর্থের অভাবে না খেয়ে জীবন-যাপন করছে শতাধিক এতিম শিশু। গত এক সপ্তাহ ধরে মাদ্রাসায় চাল-ডাল না থাকায় দুপুরে মুড়ি খেয়ে বেঁচে আছে এতিমরা। অন্য দিকে মাদ্রাসার কাজও বন্ধ। মাদ্রাসার পরিচালক টাকার চিন্তায় হতাশ হয়ে পড়ছে। পরে মুড়ি নয়তো, একবেলা খেয়ে দিন কাটছে এতিমদের। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনটি একটি পাঠক প্রিয় অনলাইনরে প্রকাশিত হয়। এরপর মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমাজের বিত্তবান ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মাদ্রাসায় যোগাযোগ শুরু করেন। এরইমধ্যে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী।